ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ - বিশ্ব ব্যাংক দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার ও জাতিসংঘ মহাসচিবের নিরাপদ সড়ক বিষয়ক বিশেষ দূত জন টড দেশের নিরাপদ সড়ক উন্নয়নের পথে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ বিষয়ে আলোচনার লক্ষে আগামীকাল বাংলাদেশ সফর-এ আসছেন।
দুই দিনের এই সফরে উনারা মাননীয় অর্থ মন্ত্রী, মাননীয় সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী, অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। জনাব শেফার ও জনাব টড ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় “সবার জন্য নিরাপদ সড়ক” বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন, যা বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার আঞ্চলিক সড়ক নিরাপদ প্রোগ্রামের অংশ।
“শেফার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা পরিবারের জন্য জীবন বিনাশী অভিজ্ঞতা। অসংখ্য লোক-ক্ষয় ছাড়াও সড়ক নিরাপত্তার বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রভাবও রয়েছে । বৈশ্বিক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত আনুমানিক বাৎসরিক মূল্য জাতীয় জিডিপি’র ২ থেকে ৫ শতাংশ”। “বাংলাদেশের মত দেশগুলোতে যানবাহন নিরাপদকরন, দ্রুততর প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র হ্রাস, সবার সম্রিদ্ধি উৎসাহিতকরণ এসব বিষয়গুলোতে সহায়তার জন্য আমি জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্তকে স্বাগত জানাই”।
সড়ক নিরাপত্তা বৈশ্বিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ। বিেশ্ব প্রতি বৎসর ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার লোক সড়কে গাড়ী চালাতে, সাইকেল চালাতে ও হাঁটতে গিয়ে মৃত্যুবরন করে এবং ৫ কোটি লোক মারত্তকভাবে আহত হয়। বিশ্ব ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা যায়, গোটা দক্ষিন এশিয়ায় ৫০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা গেলে আনুমানিক ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার লাভবান হওয়া সম্ভব।
জনাব টড বলেন, “আগামী বৎসরগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকসহ আমি বাংলাদেশে আমাদের অংশিদারদের সাথে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে অর্থময় আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি”। “আমি বাংলাদেশের প্রতি সড়ক নিরাপত্তায় জাতিসংঘ মুল আইনি ইন্সট্রুমেন্ত-এ অংশগ্রহন ও পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের আহবান জানাই, যা দেশটির অনেক বড় সড়ক দুর্ঘটনার কারন নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে”। দেশসমুহকে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘ একাধিক উপকরন ও সহায়তা পদ্ধতি প্রদানের প্রস্তাব দিচ্ছে, যার অন্তর্ভুক্ত হল সাম্প্রতিক প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা তহবিলের আগাম প্রস্তাবনা আহবান বিবেচনায় নেয়া, একই সাথে ইউএনইসিইউ পরিচালিত সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘ আইনি ইন্সট্রুমেন্ত-এ সংযোজন।
স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে একটি হল বিশ্ব ব্যাংক , যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান করছে। এর পর থেকে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান, সুদ্মুক্ত ও রেয়াতী ঋণ-এর প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে